ভাব সম্প্রসারণ কাকে বলে? ভাব-সম্প্রসারণ লেখার কৌশল লিখ।

 কোনো মূলভাব অথবা মূল বক্তব্যকে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপন করাকে ভাব-সম্প্রসারণ বলে।

ভাব-সম্প্রসারণ লেখার কৌশল

কোনো গদ্য বা কবিতার সংক্ষিপ্ত অংশ ভাব-সম্প্রসারণের জন্য দেয়া হয়। প্রদত্ত অংশটি বার বার পড়ে তার অর্থ বুঝতে হবে। বক্তব্যের আসল কথাটি ধরে আলোচনায় অবতীর্ণ হতে হবে। মূল ভাবটিকে সম্প্রসারণ করে একটি পূর্ণাঙ্গ অর্থবোধক আলোচনা করা দরকার যাতে পাঠকের কাছে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তি দিতে হবে। প্রয়োজনীয় যুক্তি তর্কের আলোচনা করতে হবে। উপমা দিয়ে বক্তব্যকে সহজবোধ্য করতে হবে। ভাবের সমর্থক গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি সংযোজন করা যেতে পারে। তবে অযথা কথা না বাড়িয়ে পরিমিত আকারে তা সীমাবদ্ধ রাখা আবশ্যক।

আলোচনা পূর্ণাঙ্গ হবে এবং থাকবে একটি প্রকাশভঙ্গি। ভাষা হবে সহজ-সরল এবং তাতে অলংকার থাকতে পারে। আলোচনাটি যেন মৌলিক রচনার মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ভাব-সম্প্রসারণ লেখার সময় নিচের তিনটি অংশের প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে

(ক) আক্ষরিক বা আভিধানিক অর্থ।

(খ) লক্ষার্থ বা মূলভাব।

(গ) মূলভাবকে বোঝানোর জন্য কোনো সার্থক দৃষ্টান্ত।

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Search Ads