ক্রিয়ার ভাব কাকে বলে? ক্রিয়ার ভাবের প্রকারভেদ।

 ক্রিয়ার উৎপত্তি ধাতু থেকে। একই ধাতু থেকে ক্রিয়ার উৎপত্তি হয়েও তার ভিন্ন ভিন্ন রূপ প্রকাশ পেতে পারে। বাক্যে একই ধাতু থেকে তৈরি ক্রিয়াপদ দিয়ে নানা ধরনের ভাবের প্রকাশ ঘটানো হয়।

ক্রিয়ার ভাবের সংজ্ঞা : যা দ্বারা ক্রিয়াপদের বর্ণিত কার্য ঘটার ধরন, প্রকার বা রীতিবোধ প্রকাশ পায়, তাকে ক্রিয়ার প্রকার বা ভাব বা ধরন বলে।

অথবা, যা দ্বারা কোনো কাজ সংঘটিত হওয়ার ভাব অর্থাৎ রীতি প্রকাশ পায় তাকে ক্রিয়ার ভাব বা প্রকার বলে।

ক্রিয়ার ভাবের প্রকারভেদ : ক্রিয়ার প্রকার বা ভাব চার ভাগে বিভক্ত। যথা–

(১) নির্দেশক ভাব

(২) অনুজ্ঞা ভাব

(৩) শর্তবাচক ভাব

(৪) আকাঙ্ক্ষাবাচক ভাব

নির্দেশক বা অবধারক ভাব : সাধারণভাবে কোনো কিছু নির্দেশ করলে তখন তাকে ক্রিয়াপদের নির্দেশক ভাব বলে। যেমন– “অর্থ, হায়রে পাতকী অর্থ, তুই জগতের সকল অনর্থের মূল।”

যারা দিনে পাঁচবার প্রার্থনা করে তারা মুসলমান।

অনুজ্ঞা বা নিয়োজক ভাব : যে বাক্যে আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, উপদেশ, আশীর্বাদ, প্রার্থনা, কামনা ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করে তাকে ক্রিয়া পদের অনুজ্ঞা বা নিয়োজক ভাব বলে। যেমন– এখন পড়। সদা সত্য কথা বলবে। গোলমাল করো না। সুখে থাক।

শর্তবাচক ভাব : কোনো বাক্যে একটি ক্রিয়া শর্তের ওপর নির্ভর করে সম্পাদিত হলে তাকে ক্রিয়াপদের শর্তবাচক ভাব বলে। যেমন– প্রভু, এমন শক্তি দাও যাতে জাতির কল্যাণ সাধন করতে পারি। পরিশ্রম করলে তোমরা অবশ্যই সাফল্য লাভ করবে।

আকাঙ্ক্ষাবাচক ভাব : যে ক্রিয়াপদ বক্তার মনের ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে, ক্রিয়ার সেই ভাবকে আকাঙ্ক্ষাবাচক ভাব বলে। যেমন– রাজা দীর্ঘজীবী হোন। সকলের মঙ্গল হোক। বৃষ্টি আসুক।

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Search Ads