প্রত্যেক ধাতুর ক্ষেত্রে একটি নূন্যতম কম্পাঙ্ক আছে যার চেয়ে কম কম্পাঙ্ক বিশিষ্ট কোনো আলো ঐ ধাতু থেকে ইলেকট্রন নির্গত করতে পারে না। ঐ নূন্যতম কম্পাঙ্ককে ঐ ধাতুর সূচন কম্পাঙ্ক বলে।
ভরের আপেক্ষিকতা ব্যাখ্যা কর।
চিরায়ত পদার্থবিদ্যা অনুসারে কোনো বস্তুর ভর একটি ধ্রুব রাশি, পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে আপেক্ষিক গতির ওপর নির্ভরশীল নয় বা গতির পরিবর্তনে বস্তুর ভরের কোনো পরিবর্তন হয় না। কিন্তু আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুসারে বস্তুর ভর ধ্রুবক বা পরম নয়, আপেক্ষিক। অর্থাৎ বস্তুর ভর পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে এর আপেক্ষিক গতির ওপর নির্ভরশীল। বস্তুর গতির পরিবর্তনে এর ভরের পরিবর্তন ঘটে। একে ভরের আপেক্ষিকতা বলে। সুতরাং, পর্যবেক্ষক এবং বস্তুর মধ্যে আপেক্ষিক গতি থাকার কারণে বস্তুর ভর পরিমাপে যে ভিন্নতা দেখা যায় তাকে ভরের আপেক্ষিকতা বলে। একটি বস্তু পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে স্থির থাকলে এর যে ভর পাওয়া যায় তাকে ঐ বস্তুর স্থির ভর (rest mass) বা প্রকৃত ভর (prope mass) বলে এবং বস্তু গতিশীল হলে এর ভরকে আপেক্ষিক ভর (relativistic mass) বলে।