যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, সেই বর্ণ বা বর্ণসমষ্টিকে প্রত্যয় বলে। যেমন : √গম্ + অন = গমন। এখানে ‘গম্’ ধাতুর সঙ্গে ‘অন’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ‘গমন’ শব্দটি গঠিত হয়েছে। আবার মিতা + আলি = মিতালি। এখানে ‘মিতা’ শব্দের সঙ্গে ‘আলি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ‘মিতালি’ শব্দটি গঠিত হয়েছে।
প্রত্যয়ের শ্রেণিবিভাগ
প্রত্যয়ের সহায়তায় যেসব শব্দ গঠিত হয় তার উৎস দুরকম। কখনো ধাতু আবার কখনো নাম শব্দের শেষে প্রত্যয় যোগে নতুন শব্দ গঠিত হয়। এদিক থেকে প্রত্যয় প্রধানত দুই প্রকার। যেমন : ১় কৃৎ প্রত্যয় ও ২় তদ্ধিত প্রত্যয়।
১. কৃৎপ্রত্যয় : ক্রিয়ামূল বা ধাতুর সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয় তাকে বলে কৃৎপ্রত্যয়। যেমন– চলন্ত, জমা ও লিখিত শব্দের যথাক্রমে অন্ত, আ ও ইত কৃৎপ্রত্যয়।
২. তদ্ধিত প্রত্যয় : শব্দমূল বা নাম শব্দের সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয় তাকে বলে তদ্ধিত প্রত্যয়। যেমন– হাতল, ফুলেল ও মুখর শব্দের যথাক্রমে ল, এল ও র তদ্ধিত প্রত্যয়।