বিশেষ্য পদ কাকে বলে? বিশেষ্য পদ কত প্রকার ও কি কি?

 যে পদ দিয়ে কোনো ব্যক্তি, বস্তু, জাতি, স্থান, সমষ্টি, কাজ বা গুণের নাম বোঝায় তাকে বিশেষ্য পদ বলে। যেমন : রবীন্দ্রনাথ, পানি, মানুষ, ঢাকা, সমিতি, ভোজন, বিনয় ইত্যাদি।

বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ

সাধারণত বিশেষ্য পদ ছয় রকমের হয়। যেমন :–

১. সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য,

২. জাতিবাচক বিশেষ্য,

৩.বস্তুবাচক বিশেষ্য,

৪. গুণবাচক বিশেষ্য,

৫. সমষ্টিবাচক বিশেষ্য ও

৬.ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ দিয়ে ব্যক্তি, স্থান, নদী, পর্বত, সাগর, গ্রন্থ ইত্যাদির নাম বা সংজ্ঞা বোঝায়, তাকে সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, ঢাকা, দিল্লি, পদ্মা, মেঘনা, হিমালয়, বঙ্গোপসাগর, মহাভারত, মেঘনাদবধ ইত্যাদি।

জাতিবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ দিয়ে কোনো জাতি বা শ্রেণির নাম বোঝায়, তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন, মানুষ, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইংরেজ, আমেরিকান, বাঙালি, নিগ্রো, পশু, পাখি, ইত্যাদি।

বস্তুবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ দিয়ে কোনো বস্তুর নাম বোঝায়, তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন, পানি, লবণ, তেল, জল, ইট, কাঠ, সোনা, রুপা, তামা, লোহা, কাগজ, কলম ইত্যাদি।

গুণবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ দিয়ে কোনো গুণ, দোষ বা অবস্থা বোঝায়, তাকে গুণবাচক বিশেষ্য পদ বলে। যেমন, দুঃখ, দয়া, সুখ, সৌন্দর্য, সাধুতা, বিনয়, বীরত্ব, শোক ইত্যাদি।

সমষ্টিবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ দিয়ে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর সমষ্টি বোঝায়, তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন, জনতা, সভা, সমিতি, দল, ফৌজ, নৌবহর, মাহফিল ইত্যাদি।

ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ দিয়ে কোনো কাজের নাম বোঝায়, তাকে ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন, গমন, ভোজন, দর্শন, ভ্রমণ, রোদন, শয়ন, শ্রবণ, ইত্যাদি। একে ভাববাচক বিশেষ্যও বলা হয়।

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post