যে সব অর্থবােধক শব্দ বাক্যে ব্যবহূত হয়, সেগুলাে প্রত্যেকটিই এক একটি পদ। যেমন- জেলেরা পুকুরে মাছ ধরে। এখানে জেলেরা, পুকুরে, মাছ, ধরে- এ চারটি শব্দ রয়েছে। সুতরাং এ চারটি শব্দের প্রত্যেকটিই এক একটি পদ। অর্থাৎ, বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি অর্থবােধক শব্দকে এক একটি পদ বলে।
পদ কয় প্রকার ও কী কী?
পদ মােট পাঁচ প্রকার। যেমন-
ক. বিশেষ্য পদ
খ. সর্বনাম পদ
গ. বিশেষণ পদ
ঘ. অব্যয় পদ
ঙ. ক্রিয়া পদ।
ক. বিশেষ্য পদ : যে পদ দ্বারা কোন কিছুর নাম বুঝায়, তাকে বিশেষ্য পদ বলে। যেমন–
ব্যক্তির নাম : অনিক, মাহিন।
বস্তুর নাম : চেয়ার টেবিল।
প্রাণীর নাম : গরু, ছাগল।
স্থানের নাম : ঢাকা, কুমিল্লা।
জাতির নাম : হিন্দু, মুসলমান।
সমষ্টির নাম : সভা, সমিতি।
গুণের নাম : সততা, ভদ্রতা।
ক্রিয়ার নাম : পড়া, খেলা।
বাক্যে প্রয়োগ
মাহিন বই পড়ে।
ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী।
গরু ঘাস খায়।
মুসলমানেরা সাহসী জাতি।
খ. সর্বনাম পদ : যে পদ বিশেষ্য পদের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে। যেমন– আমি, তুমি, সে, যে, যার, তার, কে, কাকে, তারা, তোমরা, এটা ইত্যাদি।
বাক্যে প্রয়োগ
আমি ভাত খাই।
সে স্কুলে যায়।
তিনি একজন সৎ লোক।
তারা ফুটবল খেলে।
গ. বিশেষণ পদ : যে পদ দ্বারা বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি বুঝায়, তাকে বিশেষণ পদ বলে। যেমন– ভাল, মন্দ, বড়, ছোট, সামান্য, কিছু, দুটি, তিনটি ইত্যাদি বিশেষণ পদ।
বাক্যে প্রয়োগ
মাহিন ভাল ছেলে। (গুণ)
আমার দুটি জামা আছে। (সংখ্যা)
মিনা খুব দুষ্ট মেয়ে। (দোষ)
পুকুরে অনেক মাছ আছে। (পরিমাণ)
ঘ. অব্যয় পদ : যে পদের কোন পরিবর্তন হয় না, তাকে অব্যয় পদ বলে। যেমন– ও, এবং, আর, অথবা, কিন্তু, নতুবা, কিংবা, বাঃ, আহা! ইত্যাদি অব্যয় পদ।
বাক্যে প্রয়োগ
মিনা ও রিনা দুই বোন।
মনি অথবা জনি কাজটি করেছে।
রহিম এবং করিম স্কুলে যায়।
লোকটি গরিব কিন্তু সৎ।
ঙ. ক্রিয়া পদ : যে পদ দ্বারা কোন কাজ করা বা হওয়া বুঝায়, তাকে ক্রিয়া পদ বলে। যেমন– যায়, খায়, পড়ে, লেখে, খেলে, আঁকে, দৌড়ায় ইত্যাদি ক্রিয়াপদ।
বাক্যে প্রয়োগ
মাহিন স্কুলে যায়।
মিনা বই পড়ে।
গরু ঘাস খায়।
ছোট ছেলেমেয়েরা খেলা করছে।