বিশেষণের অতিশায়ন কাকে বলে? বিশেষণের অতিশায়নের নিয়মগুলো লেখো।

 বিশেষণ পদ যখন দুই বা ততোধিক বিশেষ্য পদের মধ্যে গুণ, অবস্থা, পরিমাণ প্রভৃতি বিষয়ে তুলনায় একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বুঝিয়ে থাকে তখন তাকে বিশেষণের অতিশায়ন তারতম্য বলে। যেমন— বঙ্গবন্ধু সেতু বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু। সূর্য চন্দ্রের চেয়ে বৃহত্তম।

বাংলা শব্দে অতিশায়নের নিয়ম

বাংলা শব্দের অতিশায়নে দুয়ের মধ্যে হইতে, হতে, অপেক্ষা, থেকে, চেয়ে ইত্যাদি শব্দ ব্যবহৃত হয়। যথা- ঘোড়ার থেকে হাতির দাম বেশি। পাখির চেয়ে পশু বলবান।

দুটি বস্তুর মধ্যে অতিশায়নে জোর দিতে হলে মূল বিশেষণের আগে অনেক, অধিক, বেশি, অল্প, কম অধিকতর প্রভৃতি বিশেষণীয় বিশেষণ যােগ করতে হয়। যথা— ফুল নারিকেল চাইতে অনেক সুন্দর। ঘিয়ের চেয়ে দুধ বেশি উপকারী।

অনেকের মধ্যে একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বোঝাতে মূল বিশেষণের কোনো পরিবর্তন হয় না। মূল বিশেষণের পূর্বে সবচাইতে, সবচেয়ে, সর্বাপেক্ষা প্রভৃতি শব্দ ব্যবহৃত হয়। যথা- ভাইয়ের মধ্যে রহিমই সবচাইতে বিচক্ষণ। পশুর মধ্যে সিংহ সর্বাপেক্ষা বলবান।

কখনো কখনো ষষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত শব্দে ষষ্ঠী বিভক্তিই চেয়ে, থেকে প্রভৃতি শব্দের কার্যসাধন করে। যেমন- এ মাটি সোনার বাড়া।

*

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم