প্রকৃতি কাকে বলে? প্রকৃতি কত প্রকার ও কি কি?

 প্রকৃতি শব্দের অর্থ ‘মূল’। ক্রিয়াবাচক কিংবা নামবাচক শব্দের মূলকেই প্রকৃতি বলে। এটি ভাষায় ব্যবহৃত শব্দের অবিভাজ্য মৌলিক অংশ। ক্রিয়াবাচক শব্দের মূলকে বলা হয় ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতু এবং নামবাচক শব্দের মূলকে বলা হয় নাম প্রকৃতি বা প্রাতিপদিক।

অতএব বলা যায়, ক্রিয়া ও শব্দের মূলকে প্রকৃতি বলে।

অর্থাৎ সাধিত শব্দ থেকে ‘প্রত্যয়’ বাদ দিলে যে অংশটুকু পাওয়া যায়, তাকে প্রকৃতি বলে। যেমন–


চল্ + অন্ত = চলন্ত।

ঢাকা + আই = ঢাকাই।

খা + ইয়ে = খাইয়ে।

ওপরের উদাহরণগুলোতে ‘চলন্ত’ শব্দের প্রকৃতি হচ্ছে ‘চল’ , ‘ঢাকাই’ শব্দের প্রকৃতি হচ্ছে ‘ঢাকা’ এবং ‘খাইয়ে’ শব্দের প্রকৃতি হচ্ছে ‘খা’।


প্রকৃতির প্রকারভেদ

প্রকৃতি দু'প্রকার। যথা:

১। নাম বা সংজ্ঞা প্রকৃতি ও ২। ক্রিয়া বা ধাতু প্রকৃতি।

নাম বা সংজ্ঞা প্রকৃতি : শব্দের মূলকে নাম বা সংজ্ঞা প্রকৃতি বলে। যেমন– ঢাকা + আই = ঢাকাই।

ক্রিয়া বা ধাতু প্রকৃতি : ক্রিয়া বা ধাতুর মূলকে ক্রিয়া প্রকৃতি বলে। যেমন– √পড় + আ = পড়া, √লিখ্ + আ = লিখা।


*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post