টাঙ্গুয়ার হাওড় বাংলাদেশের বৃহত্তম মিঠাপানির প্লাবিত অঞ্চল। এটি প্রায় ১০ বর্গ কি.মি. এলাকা নিয়ে বিস্তৃত এবং এটি সুনামগঞ্জ জেলার খাসি ও জয়ন্তা পাহাড়ের পাদদেশে প্রবাহিত সুরমা নদীর প্লাবিত অঞ্চল। জীববৈচিত্র্যের জন্য টাঙ্গুয়ার হাওড়কে ২০০০ সালে “Ramsar Site” হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।এখানে রয়েছে প্রায় ৫০টি বিল যা শীতকাল ও শুষ্ক মৌসুমে পানি ধারণ করে রাখে। বর্ষাকালে বিলগুলো একসাথে হয়ে বিশাল জলাধার সৃষ্টি করে হাওড় গঠন করে। টাঙ্গুয়ার হাওড় লালন করছে প্রাকৃতিক জলমগ্ন বনভূমির শেষ নির্দশনটুকু। কম করে ১৩৫টি প্রজাতির মাছ, ১১টি প্রজাতির উভচর, ৩৫টি প্রজাতির সরীসৃপ এবং ২০৮ প্রজাতির পাখি যার ৯২টি প্রজাতি জলচর পাখি এবং ৯৮টি প্রজাতির যাযাবর (migratory), পাখি এ হাওড়ে বাস করে। টাঙ্গুয়ার হাওড় মাছের এক বিশাল ভান্ডার এবং আমাদের দেশের মিঠাপানির মাছের বংশবৃদ্ধির উপযুক্ত স্থান। এগুলোর মধ্যে ১০টি প্রজাতির ২০০৩ সালে (IUCN) এর লাল ডাটা বুকে (Red Data Book) তালিকাভুক্ত হয়েছে বিপিন্ন প্রজাতি হিসেবে। টাঙ্গুয়ার হাওড়কে বলা হয় বিনামূল্যে সম্পদ ভান্ডার। আজ এই ভান্ডারের বিশাল জীববৈচিত্র নানা ধরনের অব্যবস্থাপনার কারণে বিপন্ন অবস্থায় পতিত হয়েছে।