সমাস কাকে বলে? সমাস কত প্রকার ও কি কি?

 পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুই বা তার অধিক পদ মিলিত হয়ে এক পদে পরিণত হওয়াকে সমাাস বলে। যেমনঃ পিতা ও মাতা = পিতামাতা, বিলাত হতে ফেরত = বিলাত ফেরত ইত্যাদি।


সমাসের প্রকারভেদ

সমাস ছয় প্রকার। যথাঃ–

(ক) দ্বন্দ্ব সমাস,

(খ) কর্মধারয় সমাস,

(গ) দ্বিগু সমাস,

(ঘ) তৎপুরুষ সমাস,

(ঙ) অব্যয়ীভাব সমাস এবং

(চ) বহুব্রীহি সমাস।

ক. দ্বন্দ্ব সমাস : যে সমাসে প্রতিটি সমস্যমান পদের অর্থের সমান প্রাধান্য থাকে এবং ব্যাসবাক্যে একটি সংযোজক অব্যয় (কখনো বিয়োজক) দ্বারা যুক্ত থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।

খ. কর্মধারয় সমাস : বিশেষণ ও বিশেষ্য পদ মিলে যে সমাস হয় এবং বিশেষ্যের বা পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।

গ. দ্বিগু সমাস : সমাহার বা সমষ্টি বা মিলন অর্থে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে।

ঘ. তৎপুরুষ সমাস : পূর্বপদের বিভক্তি এর লোপে যে সমাস হয় এবং যে সমাসে পরপদের অর্থ প্রধানভাবে বোঝায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।

ঙ. অব্যয়ীভাব সমাস : যে সমাসে অব্যয়পদ পূর্বে থাকে এবং অব্যয়ের অর্থই প্রধান্য পায়, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।

চ. বহুব্রীহি সমাস : যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর কোনোটিরই অর্থ না বুঝিয়ে সমস্ত পদে অন্য কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা পদার্থকে বোঝায় তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।


সমাসের প্রয়োজনীয়তা কি?

সমাস ভাষাকে সুন্দর, সংক্ষিপ্ত এবং প্রাঞ্জল করে। সমাস গঠনের মাধ্যমে বক্তব্যকে সংক্ষেপে প্রকাশ করা যায়। বক্তব্য সংক্ষিপ্ত হলে তা অর্থবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়। এতে বাক্য সরল ও সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়। যেমনঃ ‘রাজা সিংহ চিহ্নিত আসনে বসে আছেন’ না বলে যদি আমরা বলি, ‘রাজা সিংহাসনে বসে আছেন’। এতে একদিকে যেমন ভাষা সংক্ষিপ্ত হয়। অপরদিকে শ্রুতিমধুর ও সুন্দর হয়। তাই ভাষার অলংকরণে সমাসের প্রয়োজনীয়তা অত্যাধিক।

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post