সাধু ভাষারীতি ও চলিত ভাষারীতি বলতে কী বোঝায়?

 সাধু ভাষারীতি

যে ভাষারীতিতে তৎসম শব্দের প্রয়োগ বেশি এবং ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়, তাকে সাধু ভাষারীতি বলে। যেমন : করিয়াছি, খাইয়াছি, তাহারা, তাহাদের ইত্যাদি। সাধু ভাষারীতি শুধু লেখার কাজে ব্যবহৃত হয় বলে একে লেখ্য ভাষা বলা হয়।

সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্যঃ

  • সাধু ভাষারীতি ব্যাকরণের সুনির্ধারিত নিয়ম মেনে চলে।
  • সাধু ভাষারীতির পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট।
  • সাধু ভাষারীতিতে ক্রিয়াপদ ও সর্বনামের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ করিয়াছি, করিতেছি, তাহারা, যাহারা ইত্যাদি।
  • সাধু ভাষারীতিতে অব্যয়ের তৎসমরূপ ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ অদ্য, বরাত ইত্যাদি।
  • সাধু ভাষারীতি তৎসম শব্দবহুল এবং গুরুগম্ভীর।

চলিত ভাষারীতি

যে ভাষারীতিতে ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহৃত হয়, তাকে চলিত ভাষারীতি বলে। যেমনঃ করেছি, খেয়েছি, তারা, তাদের ইত্যাদি। প্রমিত কথ্য ভাষারীতি অবলম্বনে গড়ে ওঠা একটি রীতি হলো চলিত ভাষারীতি।

চলিত ভাষারীতির বৈশিষ্ট্যঃ

  • চলিত ভাষারীতি সব সময় ব্যাকরণের সুনির্ধারিত নিয়ম মেনে চলে না।
  • চলিত ভাষারীতি পরিবর্তনশীল এবং পদবিন্যাস সুনির্দিষ্ট নয়।
  • চলিত ভাষারীতিতে ক্রিয়াপদ ও সর্বনামের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ করেছি, করছি, তারা, যারা ইত্যাদি।
  • চলিত ভাষারীতিতে অব্যয়ের তদ্ভব রূপ ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ আজ, বরং ইত্যাদি।
  • চলিত ভাষারীতিতে তদ্ভব শব্দবহুল এবং উচ্চারণ হালকা।
  • চলিত ভাষারীতি আধুনিক।

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Search Ads